করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নাটোর ও সিংড়া পৌরসভা এলাকায় সাত দিনের কঠোর ‘লকডাউনে’র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে এ সময়ে ওষুধসহ জরুরি সেবা সার্ভিস ব্যতিত সব কিছু বন্ধ থাকবে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবে না।
সোমবার (০৭ জুন) দিনগত গভীর রাতে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজের সভাপতিত্বে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির ভার্চ্যুয়ালি এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও সিভিল সার্জন ডা. কাজী মিজানুর রহমান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না। সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করতে হবে। কর্মহীন মানুষদের জন্য খাদ্যসহ জরুরি পণ্য সরবরাহ করবে স্বেচ্ছাসেবকরা। জরুরি পণ্য সরবরাহ কাজে যাতে কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি না হয়, প্রশাসনকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ‘লকডাউনে’র কার্যকারিতার জন্য প্রশাসনকে কঠোর নজরদারি করতে হবে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ সিদ্ধান্ত মানতে হবে এবং সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মধ্যরাতে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত জরুরি ওই বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় ৩ সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার সিভিল সার্জন, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামীকাল (০৯ জুন) বুধবার থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত নাটোর পৌরসভা ও সিংড়া পৌরসভা এলাকা কঠোর ‘লকডাউনে’ থাকবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নাটোর জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ৬২ ভাগ। তার আগে ছিল ৬৭ দশমিক ৩০ ভাগ। গত এক সপ্তাহে নাটোরে করোনা সংক্রমণের হার ৫০ থেকে ৬০ ভাগে ওঠানামা করছে। এর মধ্যে এই দুই পৌর এলাকায় আক্রান্তের হার সর্বাধিক। এতে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার দিনগত মধ্যরাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চ্যুয়ালি এক জরুরি সভা আহবান করা হয়। ওই সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে নাটোর ও সিংড়া পৌর সভায় ১৫ জুন পর্যন্ত সাত দিনের ‘লকডাউনে’র সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।