গণতন্ত্র সূচকে এক ধাপ এগিয়ে ৭৫তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার এ সূচক প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।
২০০৬ সাল থেকে নিয়মিত গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ গ্রুপের গবেষণা ও বিশ্লেষণ বিভাগ ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট। এবার পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হলো, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, ফাংশনিং অব গভর্নমেন্ট বা সরকার পরিচালনা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং সিভিল লিবার্টিস বা নাগরিক অধিকার।
বিভিন্ন দেশকে চার ধরনের শাসনব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র শাসনব্যবস্থা ও স্বৈরশাসন।
২০২১ সালের এই সূচক ১৬৫টি দেশ ও ২টি অঞ্চলের ওপর তৈরি করা হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। আগের বছরেও একই স্কোর নিয়ে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম।
এর আগের বছর ২০১৯ সালে অবস্থান ছিল ৮০তম। এ হিসেবে সূচকে ধারাবাহিক উন্নতির পথে রয়েছে বাংলাদেশ। গত কয়েকবারের মতো এবারও ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা’ বিভাগেই রয়েছে বাংলাদেশ।
১০ এর মধ্যে যেসব দেশের স্কোর ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে তারাই আছে এই বিভাগে। এ সকল দেশে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়।
২০২১ সালের সূচকে এ বিভাগে রয়েছে ৩৪টি দেশ। সূচকে ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান যথাক্রমে ৪৬ ও ১০৪তম। এবারের সূচকে শীর্ষ তিনে আছে যথাক্রমে নরওয়ে, নিউজিল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। আর তালিকার শেষে আফগানিস্তান।
ইআইইউ বলছে, ২০২১ সালে বিশ্বের মাত্র ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে ছিল। ২০২০ সালে সংখ্যাটা ছিল ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ গণতন্ত্রের অবস্থা আরো দুর্বল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে, কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রতি সমর্থন বাড়ছে। সূচকে সবার ওপরে রয়েছে নরওয়ে। জার্মানি রয়েছে ১৫ নম্বরে। শেষের তিনটি স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তর কোরিয়া (১৬৫), মিয়ানমার (১৬৬) ও আফগানিস্তান (১৬৭)।