দেশের চার অপারেটর খুব দ্রুতই নিজেদের কেনাকাটা সেরে নিয়েছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে নিলাম শুরু হয়ে তা শেষ হয়ে যায় সাড়ে ১২ টার দিকে।নিলামে গ্রামীণফোন ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে ৬০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম, রবিও ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে ৬০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনেছে।
বাংলালিংক কিনেছে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে ৪০ মেগাহার্টজ। টেলিটক কিনেছে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টজ ব্যান্ডে ৩০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ।
নিলামে দুই ব্যান্ড মিলে স্পেকট্রাম ছিলো ২২০ মেগাহার্টজ । এরমধ্যে বিক্রি হলো ১৯০ মেগাহার্টজ । সবমিলে ১ হাজার ২৩৫ মিলিয়ন ডলার যা টাকায় ১০ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা ।এবারে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি অকশন-২০২২’ নামে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত ফাইভজি চালুর জন্য এই স্পেকট্রাম নিলাম । তবে এ নিলামের স্পেকট্রাম ফোরজি নেটওয়ার্ককে আরও সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারণে ব্যবহারের পরিকল্পনায়ও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
মোট ২২ ব্লকে স্পেকট্রাম নিলাম হয়েছে। এরমধ্যে ২ দশমিক ৩ গিগাহার্টর্জে ১০টি ব্লক এবং ২ দশমিক ৬ গিগাহার্টজে ১২ টি ব্লক ছিলো।প্রতি ব্লকে ১০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম নিলাম হয়েছে। নিলামে প্রতি মেগাহাটর্জ স্পে ।
ফোর-জি ও ফাইভ-জি’র মধ্যে পার্থক্য ॥ ফাইভ-জি একেবারে নতুন একটি রেডিও প্রযুক্তি। তবে প্রথমেই হয়তো দ্রুতগতির বিষয়টি নজরে আসবে না। কারণ, নেটওয়ার্ক অপারেটররা বর্তমান ফোর-জি নেটওয়ার্ককে ফাইভ-জিতে বাড়িয়ে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে চাইবে। তবে দ্রুতগতির বিষয়টি নির্ভর করবে কোন স্পেকট্রাম ব্যান্ডে ফাইভ-জি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং মোবাইল কোম্পানিগুলো মাস্ট এবং ট্রান্সমিটারের পেছনে কতটা বিনিয়োগ করছে। বর্তমানের ফোর-জি প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক গড়ে সর্বোচ্চ ৪৫ এমবিপিএস গতি সুবিধা দিতে পারে। এ বিষয়ে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম বলছে, ফোর-জির তুলনায় ফাইভ-জি ১০ থেকে ২০ গুণ গতি দিতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি ভাল মানের চলচ্চিত্র হয়তো মাত্র এক মিনিটেই ডাউনলোড করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় এরই মধ্যে চালু হয়েছে পঞ্চম প্রজন্মের মুঠোফোন নেটওয়ার্ক ফাইভ-জি। গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন্নের (জিএসএম) মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের ১ দশমিক ৭ বিলিয়নের বেশি গ্রাহক থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়াজ, ৩১ মার্চ ২০২২